ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গফরগাঁও পৌরসভার মেয়রকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
গফরগাঁও পৌরসভার মেয়রকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ 

ময়মনসিংহ: মেয়রদের অপসারণের সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর নিজ কার্যালয়ে যান গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন। এই খবরে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে তাকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

 

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গফরগাঁও পৌরসভা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  

মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টানা দুইবার গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গফরগাঁওয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবলের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি গফরগাঁও ছেড়ে চলে যান।  

এ ঘটনার এক বছর চার মাস পর আজ সোমবার সকালে নিজের কার্যালয়ে গেলে তাকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইকবাল হোসেন পৌরসভার কার্যালয়ে যান। তিনি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দল বেধে কিছু লোক পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে মেয়রকে মারধর করেন। পরে ওই লোকেরাই তাকে (মেয়র) পৌরসভার অদূরে গফরগাঁও থানায় নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ইকবাল হোসেন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন বলে জানা যায়।  

গফরগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মেয়র থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তবে তাকে মারধর করা হয়েছে কি না সেটি জানা নেই। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।  

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাহ বাবেল ও ইকবাল হোসেন সুমন মিলে গফরগাঁওয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেন। ২০২৩ সালে সংসদ সদস্যের সঙ্গে মেয়রের বিরোধ সৃষ্টি হয়। সংসদ সদস্যের হুমকির কারণে ওই সময় থেকেই ইকবাল হোসেন গফরগাঁও ছাড়া হন। এরপর থেকে তিনি গফরগাঁও পৌরসভায় নিজের কার্যালয়ে যাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।