ঢাকা, শনিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩১, ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

চাষের মাছ ভেসে গেছে পদ্মা-মেঘনায়, ধরছেন জেলেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
চাষের মাছ ভেসে গেছে পদ্মা-মেঘনায়, ধরছেন জেলেরা

চাঁদপুর: গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুরের বহু ঘের ও পুকুর প্লাবিত হয়ে চাষের মাছ ভেসে গেছে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে। সেই মাছ নদী থেকে উৎসাহে সঙ্গে ধরছেন সাধারণ মানুষ ও জেলেরা।

গত দুদিন ধরে জাল ও ফাঁদ দিয়ে চলছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার এই উৎসব। এসব মাছ কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশের আড়তসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এবং বাজারে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার পুরাণ বাজার রনাগোয়াল, হরিসভা, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও চান্দ্রা বাজার মেঘনা সংলগ্ন জেলে পল্লীগুলোতে দেখা গেছে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরতে নেমেছে শত শত জেলে নৌকা।

জেলার ডাকাতিয়া নদী সংযুক্ত সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার বহু সংখ্যক মাছের ঘের, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ উজান থেকে নেমে আসা বানের পানির স্রোতে গিয়ে মিলছে পদ্মা-মেঘনায়। এসব মাছ নেমে যাওয়ার গতিপথে নদী ও খালের বিভিন্ন স্থানে লোকজন মাছ শিকার করছেন। মাছ ধরার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাব বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের পাড়ামহল্লা ও মেঘনা উপকূলীয় আড়ৎ হরিণা এবং রনাগোয়াল ঘাটে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর এসব মাছ অন্য সময়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

হরিণা ফেরিঘাট মাছের আড়তের ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নদীতে ইলিশ কম। তবে বানের পানিতে আসা দেশীয় প্রজাতির মাছে এখন ইলিশের আড়ৎ চাঙ্গা। দাম কম হওয়ায় একেক ক্রেতা ৫ থেকে ১০ কেজি করে মাছ কিনছেন। তবে পানি কমলে এই মাছ আরও বেশি ধরা পড়বে বলে তার ধারণা।

এদিকে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সকালে জোয়ারের সময় পদ্মা-মেঘনায় পানির লেভেল ছিল ৩.২ মিলিমিটার। ভাটায় আরও কমে যাবে। বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে পদ্মা-মেঘনার পানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।