ঢাকা, শনিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩১, ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্র আন্দোলনে নিহত সৈকতকে স্মরণ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
ছাত্র আন্দোলনে নিহত সৈকতকে স্মরণ

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মাহমুদুর রহমান সৈকতকে স্মরণ করেছে রাজধানীর সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন এক্স-মডেলিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কলেজ অডিটোরিয়ামে এক স্মরণসভার আয়োজন করে সংগঠনটি।

এর আগে সৈকতের কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয় এবং শোক র‍্যালি করা হয়। র‍্যালিটি মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ও গজনবী রোড প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র মাহমুদুর রহমান সৈকত গত ১৯ জুলাই নিহত হন। সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন এবং মিছিল নিয়ে আসা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় অবস্থান করেন।  

পুলিশের একটি গুলি মাথায় লাগলে সৈকত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সৈকতকে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সৈকতের স্মরণসভায় সরকারি মোহাম্মদপুরের মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শহীদ সৈকতের পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, মাহিন সরকার, উমামা ফাতেমা ও রাফিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।  

সভায় উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন এক্স-মডেলিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ফজলে এলাহী।  

সৈকতের স্মৃতিচারণ করেন তারই সহপাঠীরা শ্রেণিশিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, এক্স-মডেলিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো. তৈয়ব আল-আজাদ, কলেজ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জনাব ইউসুফ আলী খান ও কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) কামাল আকবর বক্তব্য দেন।  

সমাপনী বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বক্তব্য দেন।  

সারজিস আলম শহীদ সৈকত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে খুব কম মানুষই শহীদ হওয়ার গৌরব অর্জন করে, তার মধ্যে সৈকত একজন।  

স্মরণসভায় শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন এক্স-মডেলিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বির। পরে সেই মানপত্র, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পতাকা তুলে দেওয়া হয় সৈকতের পরিবারের সদস্যদের হাতে।

স্মরণসভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সব ছাত্র-জনতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় নিহত মাহমুদুর রহমান সৈকতকে এক্স-মডেলিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের মরণোত্তর সদস্যপদ দেওয়া হয়।

মাহমুদুর রহমান সৈকতের নামে সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরির নামকরণ করা হয় শহীদ সৈকত স্মৃতি লাইব্রেরি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ লাইব্রেরিকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।