ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ আগস্ট ২০২৪, ২২ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে সাবেক এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯৮ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
নড়াইলে সাবেক এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯৮ জনের নামে মামলা বি এম কবিরুল হক মুক্তি

নড়াইল: নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বি এম কবিরুল হক মুক্তি ও সাবেক কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বাস নওশের আলী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

উপজেলার নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বি এম কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। খান শামীমুর রহমান দুই বার কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন।

মামলার অন্যতম আরও তিন আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় যুব লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, উপজেলার নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মো. ফোরকান মোল্যা।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তিসহ অন্যান্য আসামিরা ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, শর্টগান, বন্দুক, হাতবোমাসহ জনতাবদ্ধ হয়ে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগুডাঙ্গা এলাকায় বেআইনি সমাবেশ করে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ এলাকায় জনমনে ভীতি সঞ্চার করে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের জন্য সরকারবিরোধী মিছিল সহকারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এবং এলাকার মানুষের মালামাল লুটপাটের চেষ্টা করে।

অপরদিকে, তাদের খুন জখমের হুমকি দেন তারা। জনমনে ত্রাস সৃষ্টির জন্য হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। শর্টগান ও বন্দুক থেকে গুলি ছুড়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিস্ফোরক আইনে সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।