ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

বন্যাদুর্গত ১৪ জেলায় ৩ মাস স্পেশাল ওএমএস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
বন্যাদুর্গত ১৪ জেলায় ৩ মাস স্পেশাল ওএমএস

ঢাকা: চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে তিন মাস স্পেশাল ওএমএস কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

রোববার (১ সেপ্টম্বর) দুপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতিসহ অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ, মজুত পরিস্থিতি ও বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে সরকারি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন।

তিনি বলেন, এ স্পেশাল ওএমএস বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রতিকেন্দ্রে মেট্রিক ১ টন চাল ও মেট্রিক ১ টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ মেট্রিক টন চাল ও ২৩০ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

খাদ্যসচিব আরও বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় যে কেউ এ সেবা নিতে পারবেন। এই ৩ মাসে চাল বাবদ ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা ও আটা বাবদ ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মোট ৯০ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৮২ টাকা খাদ্য ভর্তুকি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে সারা দেশে ওএমএস কার্যক্রমের তথ্য দিয়ে সচিব জানান, বর্তমানে সারা দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, শ্রমঘন ৪টি জেলা (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী), সারা দেশের সকল জেলা সদর পৌরসভায় ওএমএস খাতে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সারা দেশে সর্বমোট ৯১২টি কেন্দ্রে (৯১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১০টি কেন্দ্রে চাল ও আটা এবং ২টি কেন্দ্রে শুধু আটা) দৈনিক মোট ৯১০ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ২৬০.৫০ মেট্রিক টন আটা ওএমএস কার্যক্রমে বিক্রি চলমান আছে। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি দোকান, ৭০টি ট্রাক এবং ইনোভেশনের আওতায় ৩টি কেন্দ্রসহ মোট ১৯১টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।