পাবনা (ঈশ্বরদী): অপহরণের পর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক সিরাজ ফকির (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে শাহজাহান আলী (২৯) নামে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক শাহজাহান আলী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচড়া তেতুলতলা এলাকার আজিবর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর ঈশ্বরদী শহরের রহিমপুর এলাকার একটি চারতলা ভাড়া বাসার টয়লেট থেকে সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সিরাজ ফকির পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কৈকুণ্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৪ আগস্ট সকালে ঈশ্বরদী শহরের রহিমপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম বুলবুলের চারতলা ফ্ল্যাট সস্ত্রীকসহ ভাড়া নেন শাহজাহান আলী। পরে ২৭ আগস্ট ফ্ল্যাটে তালা মেরে তারা বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। দু’দিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিলে তালা ভেঙে বাথরুম থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজ ফকিরের ছেলে আল-আমিন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাড়ি ফেরার পর আমার বাবা নিখোঁজ হন। পরে বাবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর অজ্ঞাত এক নম্বর থেকে মোবাইলে কল করে বাবার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এক ব্যক্তি। আমি মোবাইলে বলি, ‘আমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিলে আমি টাকা দেব;। এসময় অপহরণকারীরা জানায়, তোর মায়ের মৃত্যুর পর মুখটা দেখতে পেয়েছিস কিন্তু বাবার মুখ দেখতে পাবি না। ’ পরে ৩১ আগস্ট দুপুরে বাবার মরদেহের সন্ধান মেলে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহত সিরাজ ফকিরের ছেলে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই তাকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
এসএম