কক্সবাজার: ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হাসান নূরী আওয়ামী লীগের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরার আবেদন করেন সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে।
তিনি কালারমারছড়া বাজারে স্থানীয় নেতাকর্মী, এলাকাবাসী ও কালারমারছড়া বাজারের ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘদিন আপনারা শোষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে সেই শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতনের দিন শেষ হয়েছে। আমি জেনেছি, আপনারা দীর্ঘদিন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছেন। নতুন বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতায় আপনারাও স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। কাউকে এখন থেকে আর চাঁদা দিতে হবে না। কালারমারছড়ায় কোনো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না। যদি কোনো সন্ত্রাসী কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে যুবদল নেতা হাসান নূরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর কবর জেয়ারত করেন। এরপর তানভীর সিদ্দিকীর পৈতৃক ভিটা পরিদর্শন করেন। যেখানে ২০১২ সালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক শরীফ ও তার সশস্ত্র ক্যাডাররা ২০০টিরও বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীর ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারেক শরীফ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামি করেন হাসান নূরীকে।
হাসান নূরী কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহঘোনা গ্রামের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তিনি সবাইকে একটি সন্ত্রাসমুক্ত, সমৃদ্ধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমিকা রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
এসময় যুবদল নেতা ইকবাল, তমজিদ, দিদার, ছাত্রনেতা সৌরভ খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ বেলাল, শ্রমিকদল নেতা মোহাম্মদ মানিকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
বিই/টিসি