ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাহিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাহিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহিরের মরদেহ দাফনের ৫১ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে।  

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেমসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল্লাহ আল তাহির।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল্লাহ আল তাহিরের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় তার মা-বাবা পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলা করেন তাহিরের মা শিরিন বেগম।

এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ জেলা পুলিশের ১০০-১৫০ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

তাহির হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী, নাছিমা জামান ববি, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, হারুন অর রশিদ ওরফে কানা হারুন, সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ অন্যরা।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।