ঢাকা: বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অসন্তোষের পর দেশের নবনিযুক্ত ৫৯ ডিসির মধ্যে আট ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া চার জেলার ডিসি রদবদল করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও রাজবাড়ী জেলা ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমী, জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ২-এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মো. সাইদুজ্জামান, কুষ্টিয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারহানা ইসলাম, রাজশাহীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনির হোসেন হাওলাদার, শরীয়তপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব আব্দুল আজিজ, দিনাজপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, রাজবাড়ীতে আরপিএটিসির উপ-পরিচালক মনোয়ারা বেগমকে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া টাঙ্গাইলের ডিসিকে পঞ্চগড়, নীলফামারীর ডিসিকে টাঙ্গাইল, নাটোরের ডিসিকে লক্ষ্মীপুর এবং পঞ্চগড়ের ডিসিকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ডিসি সাবেত আলীকে পঞ্চগড়ে, নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকারকে লক্ষ্মীপুরে এবং পঞ্চগড়ের ডিসি নায়িরুজ্জামানকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়।
সিনিয়র সচিব বলেন, একটি বাছাই কমিটির মাধ্যমে ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। সেই কমিটি আজকে বসেছিল। পর্যালোচনা করে ইমিডিয়েট যেটা হয়েছে, ইতোমধ্যে আটজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
৫৯ জেলার মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর ৩৪ জেলায় এবং ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুই দফায় ৫৯ জেলায় নিয়োগ পাওয়া নতুন ডিসিদের অনেকের বিরুদ্ধে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এ অসন্তোষ নিয়ে বঞ্চিতরা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুইজন যুগ্ম সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও হট্টগোল হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলেরও দাবি জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএম/আরআইএস