বরিশাল: বরিশালের ডাক বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক কার্যালয় এলাকা থেকে আবারও একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ডিজাইনের টিয়ারশেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এটিকে ডিসপোজ করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার নাফিজুর রহমান।
এর একদিন আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) একই এলাকা থেকে আরেকটি একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ডিজাইনের টিয়ারশেল উদ্ধার করা হয়েছিল।
সেদিনও ডাক বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী অবিস্ফোরিত গ্রেনেড ভেবে থানা পুলিশকে খবর দেয়। ফলে গ্রেনেড ভেবে স্থানীয় সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার নাফিজুর রহমান জানান, আগের দিন যেটি পাওয়া গিয়েছিল সেটি একটি অবিস্ফোরিত টিয়ারশেল। যা টিয়ারশেলের আধুনিক ভার্সন। গতদিনের মতো আজও সেনাবাহিনীর বোম ডিজপোজাল টিম এসে টিয়ারশেল সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছে।
এটি কাদের এবং কি ধরনের তা এখনই নিশ্চিত করতে রাজি হননি সহকারী কমিশনার নাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এর আগে যে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পাওয়া গিয়েছিল সেটি টিয়ারশেল হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল। তবে সেটি পুলিশের কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর আজ যেটি পাওয়া গেল সেটির সাথে আগেরটির কোনো মিল রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী জনি হেলা বলেন, সকালে অফিসের ঘাস ও লতাপাতা পরিষ্কার করতে গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ্য বস্তুটি দেখতে পান। বিষয়টি সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসে। আর আজও ঘাস কাটতে গিয়ে সেইরকম একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পুরো এলাকা ভালোভাবে তল্লাশি করেছে। তবে আজও একটি ছাড়া আর পাওয়া যায়নি
স্থানীয়রা বলছেন, ডাক বিভাগের মেইল প্রসেসিং সেন্টার ও পোস্ট অফিস পরিদর্শক কার্যালয় এলাকা থেকে একের পর এক গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়া নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় যেখানে পুলিশের সাথে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়েছে, সেখান থেকে কিছুটা অদূরে এ কার্যালয়টি। এখানে কোন সাংঘর্ষিক ঘটনা না ঘটলেও এগুলো এখানে কীভাবে পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইমাম হোসেন জানান, ৪ আগস্টে ফরেস্টার বাড়ির পোল এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ডাক বিভাগের পোস্টাল আবাসিক কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে রাস্তায় পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও জবাবে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে সেগুলো এভাবে এখানে পাওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. ফারুক হোসেন জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। গ্রেনেড পাওয়ার খবরে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে অনেকটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আগের দিনের মতো আজকেরটিও গ্রেনেড নয় টিয়ারশেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এমএস/এএটি