ঢাকা: সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও আনোয়ারুল আশরাফ খানের (দিলিপ) অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শওকত হাচানুর রহমান রিমন সাবেক সংসদ সদস্য বরগুনা-২ আসন এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ নামে বরিশালের আগরপুর রোড, রুপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় মোট এক কোটি ৫১ লাখ ৫৬ লাখ ৫৬৩ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৮ লাখ ৩১ লাখ ৫০০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি রয়েছে; তার নিজ নামে ব্যবসার পুঁজি ১৫ কোটি ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা ও অন্যান্য বিনিয়োগ ৪৬ লাখ টাকা এবং ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, মাইক্রো বাস, টয়োটা প্রিমিও কারসহ ৩টি গাড়ি; স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৪০ টাকা; এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে জানা যায়। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলিপ) সাবেক সংসদ সদস্য নরসিংদী-২ এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২৩-২০২৪ করবর্ষে তার স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা ও নিজ নামে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৭ টাকাসহ মোট ৮ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার ৬৩৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। যার মধ্যে নিজ নামে নগদ ১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৫ টাকা, সঞ্চয়পত্র ২ কোটি ২০ লাখ টাকা, নিজ নামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১টি এলিয়ন গাড়ি, নিজ নামে ল্যান্ডক্রুজার, ডাম্পট্রাক, কার, জাহাজ রয়েছে। স্ত্রীর নামে ১ কোটি ২১ লাখ ৩০০ টাকা ও নিজ নামে ২ কোটি ১৫ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকাসহ মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও নিজ নামে ১ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৯৬০ টাকা অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ২১ লাখ ২ হাজার ৩২০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি অর্জন করেছেন। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকায় তার বিরুদ্ধে সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস