কক্সবাজার: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কক্সবাজার বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।
সোমবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
২০০৯ সালে চাকরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যদের পক্ষে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের হাবিলদার মো. একরামুল হুদা নেতৃত্বে এ স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়েছে।
স্মরকলিপিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিবেশী একটি দেশকে সন্তুষ্ট করতে, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বাংলাদেশ রাইফেলসকে (বিডিআর) ধংস করে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড’ সংঘটিত করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধংস ও নিরীহ ৫৪ বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্মারকলিপিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে ৯টি দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো-পিলখানার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে কথিত বিদ্রোহ না বলে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা, এ ঘটনায় গঠিত সব প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা, পিলখানায় শাহাদাতবরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দান, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা, যেসব নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে, তাদের তালিকা করে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারীদের জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতিসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা।
এ সময় বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজারের উপদেষ্টা হাবিলদার শামসুল হক, মো. শফিউল আলম, মো. কামাল হোসেন, সভাপতি হাবিলদার মো. একরামুল হুদা সাধারণ সম্পাদক ল্যান্স নায়েক নুরুল আবছারসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
এসবি/জেএইচ