মানিকগঞ্জ: ভাইয়ের সঙ্গে আর কথা হইবো না, আমার ভাই আমাকে আর ডাকবো না, কে আমারে আদর করবো, মায়ের দেখাশুনা কে করবো কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমন কথাগুলো বলছিলেন ধলেশ্বরী নদীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে নিখোঁজ মহিদুরের ছোট বোন আয়েশা বেগম।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের খেয়াঘাটে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে দুজনেই নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ মহিদুরের বোন আয়েশা বেগম বলেন, আমরা পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মহিদুর সবচেয়ে সচেতন আর বিচক্ষণ ছিল। সবসময় সব ভাই-বোনদের খোঁজ খবর রাখতো-এখন কে আমাদের খবর নিবো। অসুস্থতার খবর শুনলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি গিয়ে দেখভাল করতো এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাইতো।
আয়েশা আরও বলেন, আমার অসুস্থ মা, ভাইয়ের বৌ আর আমার একমাত্র ভাতিজার কি হইবো, তাগো এখন কে দেখবো, কেমনে চলবো। আল্লাহ তুমি আমার ভাইরে তুমার কাছে নিয়া গেছো, তুমি তারে দেইখো, আমার নিষ্পাপ ভাতিজিরেও দেইখো।
সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজের লিডার রতন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই নিখোঁজ হওয়া বাবা-মেয়েকে ধলেশ্বরী নদীতে খুঁজতে শুরু করে আমাদের ডুবুরি দলের সদস্যরা। দিনের আলো অস্ত যাওয়াতে বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে পুনরায় আমরা উদ্ধার কাজ শুরু করব।
** নদীতে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
আরএ