ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যেটুকু সময় পাবো, সংস্কারটা শুরু করে দিয়ে যাব: আদিলুর রহমান খান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
যেটুকু সময় পাবো, সংস্কারটা শুরু করে দিয়ে যাব: আদিলুর রহমান খান  আদিলুর রহমান খান ছবি: ডিএইচ বাদল 

ঢাকা: গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ব্যাপক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। যেটুকু সময় পাবো, সংস্কারটা শুরু করে দিয়ে যাব।

 

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজউক মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোটার কারণে আমরা এতগুলো প্লট নেব, কোটার কারণে আমরা এতকিছু করব। আমার কথা সমস্ত কোটা উঠিয়ে দেওয়া হোক, জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। সমস্ত কোটা উঠিয়ে দিয়ে লটারির মাধ্যমে কেন ঢাকা শহরে জমি দেওয়া হয় না। এই ফ্যাসিলিটিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তরুণদের নিয়ে আসার পথ করে দিতে হবে। কিন্তু আমরা কি করি দরজাটা বন্ধ করে রাখি, যেন তারা আসতে না পারে। এই দরজাগুলো আমাদের খুলে দিতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য এবং তরুণদের জন্য।

আদিলুর রহমান খান বলেন, আমরা তরুণদের সম্পৃক্ত করব, উন্নত নগর গড়ার জন্য কাজ করব। তাদের কথা বলার জায়গা রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আজকের এই সুযোগটা যেন আমরা মিস না করি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার জন্য হাজার হাজার তরুণরা দাঁড়িয়ে আছে। আমাদেরও তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার এবং এই সময়টাকে বদলে দেওয়া দরকার।  

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যে ঢাকা শহরে বসবাস করি তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ঢাকা তুমি কার। সে কি বলবে, ঢাকা কি তরুণদের? এই কথা যখন থেকে বলবে তখন থেকে ঢাকা হবে সাধারণ মানুষের।  

স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজকের বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য যথার্থই। কারণ দেশে তরুণদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তাই সুপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য তরুণদের প্রয়োজন সব থেকে বেশি। তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তার বক্তব্যে ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ মিজ গোয়েন লুইস বলেন, বিশ্ব বসতি দিবসে ইউএন এবং বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনেকটাই মিলে যায়। বাংলাদেশ যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হয়ে থাকে তাই এই অঞ্চলে টেকসই বসতি সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আমরা ইউএন গর্বিত বোধ করছি বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে কাজ করতে পেরে। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি।  

জেনারেশন ‘জি’ পৃথিবীকে একটি সুন্দর বসতিতে পরিণত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।

সঞ্চালনা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম শফিউল হান্নান ও নির্বাহী প্রকৌশলী অজান্তা শুকলা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নায়লা আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
ইএসএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।