ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ বসবাস করবে শহরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ বসবাস করবে শহরে

খুলনা: ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে। সেক্ষেত্রে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে খুলনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আহসানুল কবীর এ কথা বলেন।

‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ।

প্রধান অতিথি বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই নিরাপদ বসতি একটি মৌলিক চাহিদা। নগরের পরিকল্পনা তৈরির সময় ওই স্থানের প্রকৃতি, পরিবেশ ও পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক পথের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। একই সাথে নাগরিকের চাহিদা এবং সমস্যার দিকগুলোও মাথায় রাখতে হবে। প্রতিটি এলাকার বসতি নির্মাণের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জলাবায়ুগত ভিন্নতার কারণে স্থাপনার নির্মাণ উপকরণ ও নকশায় ভিন্নতা আনার দরকার হয়। এক্ষেত্রে বিস্তৃত ও গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা থাকতে হবে।

প্রফেসর ড. মো. আহসানুল কবীর আরও বলেন, নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই। আবার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জুতসই বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা দরকার। শহরাঞ্চলে গণপরিবহনের জন্য জায়গা কমিয়ে কেবল ব্যক্তিগত যান চলাচলের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন নাগরিক সাম্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মিছবাহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আইএবি খুলনা কেন্দ্রের আহ্বায়ক গৌরী শংকর রায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের খুলনা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আবির-উল-জব্বার।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে খুলনা শিববাড়ি কেডিএর চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।