ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কারাগার থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি কামরাঙ্গীরচরে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
কারাগার থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি কামরাঙ্গীরচরে গ্রেপ্তার

ঢাকা: কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামি জাহিদ হোসেনকে (২৪) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি জানান এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোর ৫টার দিকে হাজারীবাগ থানার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ব্যবসায়ী হামিদুল হত্যা মামলায় কারাগার থেকে পালানো আসামি জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহফুজুল আলম জানান, আসামি জাহিদ হোসেন রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে খুন হওয়া ডিশ ব্যবসায়ী হামিদুল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারার কাছে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন ৫৫ বছর বয়সী হামিদুল ইসলাম। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ দুদিনের মাথায় অর্থাৎ সে বছরের ২৫ জানুয়ারি আসামি জাহিদ হোসেনকে কামরাঙ্গীরচর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার জাহিদ হোসেন ওই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তখন ওই মামলায় আদালতের আদেশে জাহিদকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ হামলা, ভাঙচুর ও আসামি পালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার জাহিদ হোসেনসহ অন্য পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে।  

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে পালানো আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নামে এটিইউ। এর ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে ছিলেন জাহিদ হোসেন। পরে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এটিইউ কারাগার থেকে পালানো অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও বলে জানান মাহফুজুল আলম রাসেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।