ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ক্যাবের ৯ সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ক্যাবের ৯ সুপারিশ

ঢাকা: দেশে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। পাশাপাশি এই মূল্যবৃদ্ধি রোধে ৯টি সুপারিশও জানিয়েছে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অসাধু ও মুনাফা শিকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ক্যাবের নেতারা এসব সুপারিশ জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। যা সাধারণ ভোক্তাদের জীবন অতিষ্ঠের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসাধু ও মুনাফা শিকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যা জনজীবনে অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে ঢাকার খুচরা বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়াও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় উঠেছিল। লাল ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ২ মাস আগেও ছিল ১৫০ থেকে ১৬২ টাকা। কিন্তু একজন সাধারণ ক্রেতার এই উচ্চ মূল্যের বাজারের সঙ্গে কিভাবে চলবে, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার।

ক্যাবের সুপারিশগুলো হলো:

১. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সারা দেশে 'বিশেষ টাস্কফোর্স' এর কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।

২. পাইকারি ও খুচরা বাজারে সকল পণ্যের বিক্রয়মূল্য দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এজন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সারা দেশে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও প্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে।

8. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, পাইকারি মূল্য ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে ও তা বাস্তবায়নের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৫. কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, মজুদকারী ও মুনাফা শিকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে এবং তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

৬. পেঁয়াজ, রসুন ও আদার অধিকতর চাষাবাদের জন্য বীজ, সার ও লাগসই আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করতে হবে।

৭. প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদা পূরণে ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে।

৮. পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে এবং পণ্য আমদানির পর তা যেন নির্দিষ্ট দামে বাজারে বিক্রি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

৯. সড়কে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হয়রানি বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় ক্যাবের নেতারা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি'র সাধারণ সম্পাদক রুহিন উদ্দিন প্রিন্স, সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।