ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগে নারীর ভোগান্তি নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
দুর্যোগে নারীর ভোগান্তি নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

খুলনা: নারীদের দুর্যোগকালীন দুরবস্থা মোকাবিলায় কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নারীরা শারীরিক, মানসিক, এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও যত্ন উপেক্ষিত থেকে যায়।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করণীয় নির্ধারণ এখনই প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে খুলনায় আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা নগরীর শিরিশনগরস্থ রূপান্তর প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন, খুলনা জেলা কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলুর সভাপতিত্বে এবং রূপান্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক হাসনা হেনা।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক ও আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সভা প্রধান স্বপন কুমার গুহ।

আলোচনায় অংশ নেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, দিবস উদযাপন কমিটির খুলনা জেলা সদস্য সচিব রাবেয়া বসরী, অ্যাডভোকেট পপি ব্যাণাজী, অ্যাডভোকেট রওশন আরা, নূরুন্নাহার পলি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননাপ্রাপ্ত পাঁচজন গ্রামীণ নারী রোকশানা আক্তার, পলি আক্তার, ফাতেমা ইয়াসমিন বুলু, মিনারা আহমেদ ও লতিকা মণ্ডল তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়ে থাকে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘দুর্যোগে নারীর সুরক্ষায় দরকার সচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ’।

অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নে গ্রামীণ নারীদের নানামুখী কর্মকাণ্ডকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে নারীরা অনেক সংগ্রাম করে নিজেদের অবস্থা এবং অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই কাজে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। এটা গ্রামীণ নারীদের জন্য অনুদান নয়, অধিকার। তথ্যে, সম্পদে, কর্মে গ্রামীণ নারীদের পুরুষের সমান অধিকার দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যেকোনো দুর্যোগে একজন নারীর শারীরিক, আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতিও কম নয়। এগুলো সংকট কাটিয়ে উঠিয়ে নতুনভাবে শুরু করার জন্য যেসব সেবা-শুশ্রুষা দরকার তাও অপ্রতুল অথবা নেই বললেই চলে। কখনো কখনো বেসরকারিভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ দেখা গেলেও নারীর জন্য দুর্যোগ পরবর্তী সমন্বিতভাবে কোনো সরকারি-বেসরকারি সেবা (শারীরিক, মানসিক, প্রজনন স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবা) লক্ষ্য করা যায় না। এই অবস্থার অবসানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।