ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণ, একজনের জন্য ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
টেকনাফে ৩ জনকে অপহরণ, একজনের জন্য ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজার: টেকনাফের বাহারছড়া এলাকা থেকে গত ১২ অক্টোবর রাতে অপহৃত হন বেলাল উদ্দিন (৩২) নামে এক স্থানীয়। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

এরইমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে আরও দুই কৃষককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।  

পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রোহিঙ্গারা এসব অপহরণ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কম্বনিয়াপাড়ার পাহাড় সংলগ্ন জমিতে কৃষি কাজ করার সময় ওই ২ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।  

অপহৃতরা হলেন - টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়াপাড়ার নুরু ইসলামের ছেলে মো. আবছার (২৮) এবং পূর্ব মহেশখালিয়া পাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আলম (২৩)।  

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী জানিয়েছেন, কম্বনিয়াপাড়ার পাহাড় সংলগ্ন কৃষি জমিতে কৃষি কাজ করার সময় ২ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে। পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ অপহরণে জড়িত। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি এবং কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবিও করেনি অপহরণকারীরা।  

বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি চেয়ারম্যান।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে অবহিত হওয়ার পর পুলিশ দুই কৃষককে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।  

এদিকে টেকনাফের বাহারছড়া থেকে অপহৃত বেলাল উদ্দিনকে (৩২)  এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  অপহৃত বেলাল উদ্দিন (৩২) বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালি এলাকার আলী আহমদের ছেলে।  

বেলাল উদ্দিনের স্বজনরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী এখনও ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে যাচ্ছে। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।  

পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধারে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য বলছে, গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩২ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৭৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৭ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
এসবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।