ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপেক্ষার প্রহর গুনছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
অপেক্ষার প্রহর গুনছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি: দীর্ঘ একমাস ২৬ দিন পর রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ায় পর্যটকদের পদচারণার অপেক্ষার প্রহর গুনছে সেতুটি।  

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সেতু থেকে আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেছে।

তবে চলতি মাসের শেষ দিকে সেতুসহ পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে জানান কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত থাকার কারণে পর্যটকদের উপস্থিতি না থাকলেও শুক্রবার কিছু পর্যটক ঝুলন্ত সেতুতে দাঁড়িয়ে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি চট্টগাম থেকে বেড়াতে এসেছি। ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে চলে এসেছি। দেখে মনটা ভালো হয়ে গেছে। তবে কোনো পর্যটক না থাকায় সুনসান নীরবতা।

তার স্ত্রী আছমা আনোয়ার বলেন, স্বপ্নের সেতু দেখে মন অনেক ভালো লাগছে। এখানে আরও আগে আসার কথা ছিল। রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত থাকায় আসা হয়নি। আজ সাহস করে চলে আসলাম।

রাঙামাটি পর্যটক করপোরেশনের বোট ঘাট ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে সেতু পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। যেকোনো পর্যটক এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। তবে আরও কিছুদিন পর সেতুসহ পুরো এলাকা সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে। যেহেতু রাঙামাটিতে এখনো পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত আছে।

পর্যটন করপোরেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭০ দশকের শেষের দিকে রাঙামাটিকে পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে দু’পাহাড়ের মধ্যখানে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে দেয়। এ সেতুটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণে ছুটে আসে।

গত ২৩ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে সেতুটি হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
জেএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।