বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে মোংলাসহ সব সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে এখন নিজস্ব ০১ নম্বর অ্যালার্ট চলছে, ৩ পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে জেলা প্রশাসক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইউএনও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ’ জেলায় ৮০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এসআরএস