পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামে প্রবল বাতাসের তোড়ে সাতটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসন হতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকার কারণে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন এবং সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিমও কাজ করছে।
পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের সকল সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং জেলার অদূরবর্তী চর ও দ্বীপ এলাকায় ২-৩ ফুটের জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিকেল তিনটা পর্যন্ত ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় ৮২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, প্রায় ৯ হাজাট জন সিপিপি সদস্য ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, উদ্ধারকর্মী ও সংকেত প্রচারণায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগের চলাকালীন শুকনো খাবারের জন্য ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিআর চাল ৮০০ মেট্রিক টন, শুকানো খাবার এক হাজার প্যাকেট, শিশুখাদ্য বাবদ পাঁচ লাখ ও গবাদিপশুর খাদ্য বাবদ পাঁচ লাখ টাকা মজুদ আছে।
প্রয়োজনে সরকারের কাছ নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবারের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসএএইচ