বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পলাশ শেখ (৩৬) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন মামা আব্দুর রব, কবির ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ফতেপুর বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত পলাশ শেখ কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে। অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য আব্দুর রব চন্দ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। কবির হোসেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
নিহত পলাশের মা হেলেনা বেগম বলেন, জাল দলিল করে বাবার বাড়িতে পাওয়া আমার প্রায় দেড় বিঘা জমি দখলে নেন ভাই আব্দুর রব ও কবির। এই জমি ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে জমি ফেরত চাইলে রব ও কবির আমার ছেলে পলাশকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন। মঙ্গলবার স্থানীয় শিমুল কয়েকবার ফোন করে, কুমারগাড়িয়া ঘেরের (সরকারি জমিতে দখল করা ঘের) ভাগের টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে আমারে ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে রব ও কবিরের লোকজন। আমার ছেলেকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের তাদের ফাঁসি চাই।
পলাশের বোন সালাম বেগম বলেন, রব ও কবির এই জমি নিয়ে আগেও আমার ভাই ও মাকে কয়েকবার মেরেছে। রব, কবির ও আকবরের নেতৃত্বে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। এ হত্যার বিচার চাই।
পলাশের স্ত্রী রিমা বেগম বলেন, আমার তিনটা ছেলে-মেয়ে। আমার বাবা-মা নেই, শ্বশুর-শাশুড়ি বৃদ্ধ। একটু জমির জন্য আপন ভাগ্নেকে মেরে ফেলল এখন কোথায় যাব।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর রব ও কবির এলাকায় অশান্ত সৃষ্টি করে ফেলেছে। এমন কোনো অপরাধ নেই তারা করে না। কচুয়ার মানুষের শান্তির জন্য তাদের এখনই থামানোর দাবি জানাই।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনি শংকার পাইক বলেন, মঙ্গলবার রাতে মৃত অবস্থায় একজন রোগী নিয়ে আসা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম বলেন, হত্যার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এসএম