ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাফলংয়ে বালু উত্তোলন ও লুট, ৩০ জনের নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
জাফলংয়ে বালু উত্তোলন ও লুট, ৩০ জনের নামে মামলা

সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী জাফলংয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাভুক্ত (ইসিএ) এলাকা থেকে বালু উত্তোলন এবং অভিযানে জব্দ বালু সরিয়ে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।  

বুধবার (২৮ অক্টোবর) সিলেটের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (পরিবেশ) ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মো. আব্দুল হান্নান (৪৫), জিয়া উদ্দিন (৪৫), মো. শরিফ (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩২), রানা মিয়া (২৮), রুবেল মিয়া (৩০), সাহেল আহমদ (৩১), আল আমিন (৩২), ইয়াছিন আলী (৩৩), গোলাম সরওয়ার (৩২), সুমন আহমদ (৩০), জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), দেলোয়ার মিয়া (৫৩), আমির মিয়া (৪২), সুমন আহমদ (৩০), সাহেদ আহমদ (৩২), নুরুজ্জামান (৪৮), সামছুল আলম (৫২), সাইদুল ইসলাম (২৮), শামীম আল মামুন মনির (৩৩), মোজাম্মেল হোসেন (৪৮), শাহজাহান সিরাজ (৫২), সজিব আহমদ (৩০), দুলাল মিয়া (৪৬), আলী হোসেন (৪৫), নুরুল ইসলাম মোল্লা (৫৪), আলীম উদ্দিন (৪৭), রহমান শিকদার (৪৫), আবু তাহের (৪০) ও রায়হান হোসেন (৩৪)।

অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা থেকে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট, পরিবর্তন এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ অক্টোবর বেলা ২টার দিকে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ঘটনাস্থল ডাউকি নদীর ইসিএভুক্ত ১ নম্বর খতিয়ানের নাইন্দা হাওর মৌজার বালির হাওর এলাকায় নদীর পাড়ের বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর স্তূপ রয়েছে।  

আসামিরা রাতের আধারে ওই স্থান থেকে অবৈধভাবে যান্ত্রিক উপায়ে বালু উত্তোলন করে বলগেট বোঝাই করে বিক্রি করে থাকেন। নদী তীরবর্তী স্থানে স্তূপাকারে জমা রাখেন। জব্দ করা এক লাখ ঘনফুট বালুর মালিক জাহাঙ্গীর ও দেলোয়ার।  

রাতের আধারে উত্তোলিত বালু তারা নদীপথে পরিবহন করেন এবং সড়কপথে পরিবহনের জন্য নদীর তীরে স্তূপাকারে রাখেন। এর ফলে সরকার ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাভুক্ত নদীর তীর ভাঙন, উক্ত ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট, পরিবর্তন এবং প্রতিবেশগত ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন হয়।

গত ২১ অক্টোবর গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি বালুবোঝাই বলগেট এবং গোয়াইন নদীর পারে জমা বালুসহ এক লাখ ৫৭ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ তালিকা মূল্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হান্নানের জিম্মায় দেওয়া হয়।

জিম্মাদার বলগেটের মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জব্দ বলগেট বোঝাই বালু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। জনপ্রতিনিধি হয়েও আর্থিকভাবে লাভবান হতে তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের সহায়তা ও উৎসাহিত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৪
এনইউ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।