ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০ জন খালাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
মেহেরপুরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০ জন খালাস

মেহেরপুর: শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদসহ জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মীর নামে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৪ নভেম্বর) জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এ এ রায় দেন।

 

২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের পাশে জামায়াত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ সময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।  

গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  

গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন- শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াতকর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন।

এ সময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।  

পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন।  

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালীন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল। এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ।

মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। জামায়াত শিবিরের শত শত নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন।

এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকী মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াত নেতাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।