ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩ ঘণ্টাব্যাপী মাওলানা সাদকে নিয়ে সমালোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৪
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩ ঘণ্টাব্যাপী মাওলানা সাদকে নিয়ে সমালোচনা

ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসলামি মহাসম্মেলন করেছে তাবলীগের প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারী ও কওমিপন্থী আলেম-উলামারা। তারা ৪ ঘণ্টার সম্মেলনে তিন ঘণ্টা ধরে দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিরকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করলে ঠেকানো হবে বলেও মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কওমি মাদরাসা, তাবলীগ ও দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশায়েখের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলা হয়।

মহাসম্মেলনে যোগ দিতে ফজরের নামাজের পর থেকে পুরো দেশ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারী আলেম-ওলামারা। সকাল থেকেই পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের পুরো মাঠ মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

মহাসম্মেলনে যোগ দেওয়া তাবলীগের দুই গ্রুপের বিভক্তি নিয়ে অনুসারীদের মাঝে নানা বিবাদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। মহাসম্মেলনে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের ‘বাতিল’ বলে দাবি করেন। সমাবেশে ৪ ঘণ্টার আলোচনার মধ্যে বক্তারা দাওয়াত ও তাবলীগ, কওমি মাদরাসা ও দ্বীনের হেফাজতের বিষয় নিয়ে আলোচনা খুব বেশি না করে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় মাওলানা সাদকে নিয়ে সমালোচনা করেন।

আলেম-উলামারা অভিযোগ করে বলেন, সাদপন্থীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসর ও ভারতের ‘র’ এজেন্ট। ইসলামকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ চলে গেলেও তারা এখন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। যদি মাওলানা সাদকে দেশে এনে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান সেটা মেনে নেবে না। পাশাপাশি কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে, এমন সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেন, তাবলীগের স্ব-ঘোষিত আমির সাদ কোরআন হাদিস, আলেম-উলামা, আল্লাহর অলি, নবী ও স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধে কুফরি বক্তব্য দিতে থাকেন৷ তাই সারা বিশ্বে তাবলীগের মূলধারা তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়। সাদের অনুসারীরা হচ্ছে কাদিয়ানী গ্রুপ। তারা ইসলামের মূলধারায় বিভক্তি সৃষ্টি করছে। এই সরকারকে তাবলীগের নামে কাদিয়ানীদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত।

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার হোসেন কাসেমী বলেন, তাবলীগের সৃষ্টি দেওবন্দ থেকে। তাদের হাতেই লালিত-পালিত হচ্ছে। এই তাবলীগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আলেম-উলামারা বসে থাকবে না। এখানে অনেক সংগঠনের সবাই এসে উপস্থিত হয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে আমরা আর যাই ভাগ করি না কেন আমরা ইসলামকে ভাগ করতে পারি না।

উল্লেখ্য, তাবলীগ দীর্ঘ দিন ধরে দুটি অংশে বিভক্ত। দুটি অংশের একটি দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির ও আরেকটি অংশ প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।