ফেনী: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ১৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটম চালক জাফর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্লাহ, নিজাম হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ফরিদ মানিক, ফেনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি লিটন ও ফেনী সদরের ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হক রিফাতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া সরোয়ার জাহান মাসুদ ও ওয়াকিল আহমেদ শিহাব হত্যা মামলায় পিএস মানিককে দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
আন্দোলনে মাসুদ হত্যা মামলায় দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজুকে ৫ দিন ও ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ হত্যা মামলায় ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সম্রাটকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগে ওয়াকিল আহমেদ শিহাব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মেজবাহ উদ্দিন মেজুকে পাঁচদিন ও এনামুল হককে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহিম হৃদয় দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আরেকটি হত্যা মামলায় ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সম্রাটও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মুরাদ হাসান বাবু।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ফেনীতে আন্দোলনে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় ৮টি হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও ৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৪
এসএইচডি/জেএইচ