ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও এখনও গ্রেপ্তার হননি আসামিরা। এনিয়ে ভুক্তভোগী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রাইভেটকার চালক হিমেল আহমেদের মা ইয়াসমিন হেনা।
তবে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জসীম (৩৮), পিয়াস উদ্দিন (৪৫), আরিফুল ইসলাম (৩৫), আ. জলিল (৩৫) ও মিন্টু মিয়াসহ (৩৪) অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়জন।
মামলার এজাহারে বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে উদাসীনতা, কর্তব্য অবহেলা, ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রাখা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের বাইরে ট্যাংকে গ্যাস সরবরাহ করার কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন। এতে অপূরণীয় ক্ষতিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও এজাহারে দাবি করে বাদী ইয়াসমিন হেনা। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। অভিযান চলমান আছে।
গত ৪ নভেম্বর ময়মনসিংহ নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় আজহার ফিলিং স্টেশনে এলপিজি গ্যাস ট্যাংকার থেকে আনলোডের সময় লিকেজ থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে একজনসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- ময়মনসিংহ নগরীর নিজকল্পা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারি তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), কিসমত গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে প্রাইভেটকার চালক হিমেল আহমেদ (৩২), স্থানীয় ভিক্ষুক আবদুল কদ্দুস (৮৫) ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাড়গুজিরপাড় এলাকার মনসুর হোসেনের ছেলে মুদি দোকানিআবুল হোসেন (৪৫)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এসআরএস