সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সোহেল রানার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে একাধিক টিসিবি ডিলারশিপ পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। তার আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তৎকালীন সংসদ সদস্যের সুপারিশে তিনি এসব ডিলারশিপ লাভ করেছেন।
অভিযুক্ত সোহেল রানা কাজিপুর চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ শহরের জানপুর মহল্লায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। অভিযোগ রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোহেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোহেল রানা কাজিপুর উপজেলার বাসিন্দা হয়েও সদর উপজেলায় দুটি লাইসেন্স নিয়ে টিসিবি ডিলারশিপ পরিচালনা করে আসছেন। সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা এলাকায় স্বাধীন ট্রেডার্স ও সদর উপজেলা এলাকায় সরকার এন্টারপ্রাইজ নামে এ দুটি ডিলারশিপ নিজেই পরিচালনা করে আসছেন। কৌশলে ডিলারের মালিকানায় একটিতে নিজের নাম অপরটিতে ভাগনে সেলিম রেজার নাম ব্যবহার করছেন। তবে দুটি লাইসেন্সে নিজেরই দুটি নম্বর দিয়েছেন। ডিলারশিপ নেওয়ার সময় স্বাধীন ট্রেডার্সের লাইসেন্সে ০১৭১০১৩৫৩২৩ ও সরকার এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সে ০১৭৪১৪৯৩১৪৯ দেওয়া ফোন নম্বর দুটি সোহেল রানার নামেই রেজিস্ট্রেশন করা।
এছাড়াও তার ভগ্নিপতি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়ার নামে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, আমিনুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ ও মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামে আরও তিনটি টিসিবি ডিলারশিপ সোহেল নিজেই পরিচালনা করেন।
এদিকে জানা গেছে, আত্মীয়-স্বজনদের নামে আরও চারটি ডিলারশিপ পেতে তিনি আবেদনও করেছেন। যা বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কানুনগোর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়ের সুপারিশে নিজ নামে একাধিক টিসিবি ডিলারশিপ নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সোহেল রানা এবার বিএনপির নেতার নাম ভাঙিয়ে নতুন করে টিসিবি ডিলারশিপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল রানা বলেন, আমার নিজের একটা ডিলারশিপ রয়েছে। অপর একটির প্রতিনিধিত্ব করছি।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সাবরিন সুলতানা বলেন, টিসিবি ডিলারশিপ মূলত বগুড়া আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া হয়। আমরা শুধু তদারকি করি। এক উপজেলার বাসিন্দা হয়ে অন্য উপজেলায় ডিলারশিপ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে টিসিবি অফিসই বলতে পারবে।
এ বিষয়ে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ বগুড়া অফিসের সহকারী পরিচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, টিসিবির লাইসেন্স দেওয়া না দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের না। এটা হেড অফিসের এখতিয়ার। এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় লাইসেন্স নিতে পারবে কিনা সেটা হেড অফিসই বলতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
জেএইচ