ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় বাস পরিচালনা করতে আবেদন গ্রহণ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় বাস পরিচালনা করতে আবেদন গ্রহণ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত

ঢাকা: রাজধানীর যানজট নিরসনে এবং যাত্রীদের আরামদায়ক পরিবহন সেবা দিতে পুনরায় ঢাকা নগর পরিবহন চালুর পরিকল্পনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় বাস পরিচালনা করতে বাস কোম্পানিগুলোকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৯তম সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রশাসক নজরুল ইসলাম। তার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএসসিসি প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা পরিবহন ব্যবস্থার সমস্যার তো কোনো শেষ নেই। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যে সমস্যা আপনারা (সাংবাদিক) বলেছেন, সেই সমস্যাগুলো আমরাও স্বীকার করি। কিন্তু আমরা আশা করি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে সুযোগ আমাদের এসেছে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো। পাশাপাশি ঢাকা শহরের যানজটকে দূর করে মানুষের জন্য আরামদায়ক ট্রান্সপোর্টেশনের ব্যবস্থা যেনো আমরা করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি, অতীতের পরিবেশের চেয়ে একটি সুন্দর পরিবেশে আমরা এখন কাজ করছি, এই পরিবেশ অব্যাহত থাকলে, এই কমিটি যে সিদ্ধান্তগুলো দিয়েছে, সেটি আমরা খুব সহজে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

ঢাকা নগর পরিবহনের বাসগুলো আবার কবে চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ৩০ তারিখের মধ্যে কোম্পানিগুলো থেকে আবেদনগুলো নিবো। তারপর আমরা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে রুট ঠিক করে দিবো এবং কোম্পানির সিস্টেমে গাড়িগুলো পরিচালনা করবো। ১১ ডিসেম্বর আমাদের আরেকটি মিটিং আছে। মিটিংয়ের আগে কমিটি সুপারিশ করবে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরো বলেন, বাসগুলো নগর পরিবহন নামে চলবে, কিন্তু মালিকানায় থাকবে বেসরকারি কোম্পানি। তাদের নির্দিষ্ট রুট থাকবে। আমরা র‍্যাপিড পাস, অনলাইনে পেমেন্ট সিস্টেমে চলে যাবো। যাতে ড্রাইভার ও হেলপারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না হয়।

এ সময় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, যারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেট করে তাদের কাছ থেকে আমরা আবেদন চেয়েছিলাম। আমরা বিপুল পরিমাণে সাড়া পেয়েছি। প্রায় ৮০টি কোম্পানি আবেদন করেছে। আমরা একটি ছোট কমিটি করবো। কি পদ্ধতিতে বাসগুলো চলবে সেটি ঠিক করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, মূলত আমরা কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনা করার কথাই ভাবছি। প্রধানত যে যে রুটে বাস পরিচালনা করছে, তারা যাতে সেই রুটেই বাস চালাতে পারে আমরা সেই দিকটায় জোর দিবো।

তিনি আরো বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আবেদন করতে পারবে। তারপরে আমরা আবেদনগুলো নিয়ে বসবো।

রাজধানী যানজট কমাতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার ওপর জোর দেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন। তিনি বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত হলে ৬০ শতাংশ মানুষ হেঁটে চলাচল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।