বরিশাল: বাকেরগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর মারধরে স্ত্রী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের নাম সাবিনা বেগম (২৫)।
নিহতের প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে বাছেদ তার স্ত্রী সাবিনাকে রোববার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে মারধর করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে প্রতিবেশীরাই সাবিনার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন। পরে স্থানীয়রা থানাকে বিষয়টি জানালে পুলিশ সদস্যরা এসে নিহতের দেহ উদ্ধার করে।
উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামের বাসিন্দা জামাল হাওলাদার সাবিনার বাবা। তিনি জানান, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে সৈয়দ বাছেদ ও তার মেয়ের বিয়ে হয়। বাছেদ তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ একটি অটোরিকশা যৌতুক নিয়েছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সাবিনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বাছেদ।
জামাল হাওলাদার বলেন, বাছেদের মারধরেই সাবিনার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন সংবাদ না দিলে মৃত্যুর বিষয়টি আমরা কেউ জানতে পারতাম না। সাবিনার মৃত্যুর পর বাছেদসহ সবাই পালিয়েছে।
সাবিনার মা জানান, রোববার দিবাগত রাত ৯টায় মেয়ের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। সে সময় সাবিনা কান্না করছিলেন। কি কথা বলছিলেন, সেটি ভালোভাবে বোঝা যায়নি। কিন্তু তিনি সাবিনার ঘরে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে- তা বুঝতে পারেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে থানা থেকে তাদের ফোন দিয়ে সাবিনার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সবিতা জানান, স্থানীয় লোকজন খবর দিলে রাত তিনটার দিকে বাছেদের বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখানে উপস্থিত বাছেদের আত্মীয়রা জানিয়েছে ঘরের খুঁটিতে শিকল লাগিয়ে সেটিতে ফাঁস দিয়ে সাবিনা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মরদেহ শিকলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। নিহতের গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল বলেন, গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি ফাঁস চিহ্ন ছাড়া শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সাবিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পাওয়া যাবে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যার প্ররোচনা সেটি না জানালেও সাবিনার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এমএস/এমজে