বরগুনা: বরগুনায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে চার পুলিশসহ নয়জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আসামিদের সঙ্গে আসা তিন আত্মীয়-স্বজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- সদর উপজেলার ঘটবাড়ীয়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আশ্রাফুর রহমান অন্তু (২০), বরগুনার তালতলী উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আ. ছত্তরের ছেলে মো. ছগির মিস্ত্রি (৫০), ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ তালতলী থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অন্য কোনো মদদদাতা রয়েছে কিনা তা বের করতে আদালেতে আসামিদের রিমান্ড চাইলে অভিযুক্ত সাত জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে তাদেরকে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এলে হাসপাতালে থাকা স্বজনরা আসামিদের সিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের চার সদস্য আহত ও হাসপাতালে কর্মরত পাঁচজন স্টাফ আহত হয়েছেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেন। তবে এ ঘটনায় আদালতের রিমান্ড প্রাপ্ত কোনো আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত রিমান্ডের আসামিরা হলেন- মো. মিজানুর রহমান ওরফে টাচ মিজান (৩০), মো. রাকিব (২৫), মো. জাহিদ (২৫), মো. খলিল (৩০), মো. ইমরান হোসেন ওরফে টাচ ইমরান (২২), মো. আরিফুর রহমান (২০) ও মো. ইউসুফ (২৬)।
বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, রিমান্ডে থাকা সাতজন আসামিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ও হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনে আটক করতে সক্ষম হই। এছাড়াও পালিয়ে যাওয়া সবাইকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসএম