ঢাকা: ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান আহতদের দেখতে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তারা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক হাসপাতালের ডাক্তার এবং ভর্তিকৃত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর থেকে নিটোরে যুক্তরাজ্যের দুইজন ডাক্তার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা করছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় হাসপাতালের ৪ তলায় রোগীদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন।
নিটোরের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা দুইজনের চিকিৎসক টিম হাসপাতালে আহত ৮৫ জন রোগীকে দেখেছেন। যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক টিম আজ পর্যন্ত ১৬ জনের সার্জারি করেছেন এবং আগামীকাল আরো দুইজনের সার্জারি করবেন। তারা আমাদের চিকিৎসা প্রটোকল ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ৪র্থ তলায় পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভিড়ের মধ্যে গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগ করে একদল মানুষ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, হাইকমিশনার অফিসসহ সকলে তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা কর্ণপাত করেন নি। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াই চলে আসতে বাধ্য হন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার চলে যাবার পর যথাযথ চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্য বিরোধী অভ্যুথানে আহত এবং চিকিসাধীন ছাত্র জনতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভ্যুথানে আহত ছাত্র জনতা সড়কে অবস্থান গ্রহণ করে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় তারা এম্বুলেন্স ছাড়া বাকি সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেয়।
আহত আন্দোলনকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত চিকিৎসার টাকাও তারা পায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
আরকেআর/এমএম