ঢাকা: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করা উচিত যে, আপনি (শেখ হাসিনা) সবাইকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন বলে উল্লেখ করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেড অ্যালার্ট বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, রেড অ্যালার্ট তো অন্য মেকানিজম। রেড অ্যালার্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক যে পুলিশি সংস্থার সদস্য, আমার দেশে আমি যদি কাউকে না পাই, তাহলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারি। রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারি উনি হয়তো অন্য কোনো দেশে, অন্য কোথাও যেতে পারে। এটা দিয়ে সবাইকে সজাগ করে রাখলাম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কল রেকর্ড ফাঁস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব যদি সত্যিই উনার (শেখ হাসিনা) কনভারসেশন হয়ে থাকে, এগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করা, মানুষকে প্ররোচিত, উত্তেজিত করা, বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সততার সঙ্গে কোনোরকম চালাকি নয়, কোনো উপদেষ্টা নয়, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, আপনি আপনার বৃহত্তর পরিবারকে নিয়ে, কাউকে না জানিয়ে এভাবে যে পালিয়ে গেলেন এবং আমাদের প্রতিনিয়ত এভাবে যে উসকানি দেন, বিক্ষোভ করার জন্য, সন্ত্রাস এবং উসকানিমূলক কাজ করার জন্য, এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা কি?
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, উনি ওনার ভাগনে, পরিবারের লোকজনদের সরকার পতনের ২-৩ দিন আগে নিরাপদে কেন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উচিত, উনার পার্সোনাল জবাবদিহিতা চাওয়া।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের মধ্যে যদি কোনো নিরীহ নেতাকর্মীও থেকে থাকেন, প্রত্যেকেই বিপদে পড়ছেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামল, বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন করার কারণে। শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে একজন না একজনের প্রশ্নটা করা উচিত, আপনি আমাদের না জানিয়ে এভাবে বিপদের মধ্যে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন?
শেখ হাসিনার ফোন আলাপ বন্ধে কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল ওই সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনারা কি বন্ধ চান? আপনি যেহেতু প্রশ্ন তুলেছেন, এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না তবুও আমরা এটা আলোচনা করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস