ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘কওমি-আলিয়া ভেদাভেদ ভুলে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
‘কওমি-আলিয়া ভেদাভেদ ভুলে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’

খুলনা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, কওমি-আলিয়া সব ভেদাভেদ ভুলে দ্বীনে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সব আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর ওলামা বিভাগের উদ্যোগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরী ওলামা বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা ও মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান।

খুলনা মহানগরীর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- উলামা-মাশায়েখ কমিটির মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইদ্রীস আলী, খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুফতি আব্দুর রহিম সরদার, খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ডি এম নূরুল ইসলাম, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তালিমুল মিল্লাত মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ। কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা হাবিবুল্লাহ। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন মাওলানা আব্দুল করিম।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দল-মত-নির্বিশেষে সব মারকাজের উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী নেতাদের ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে, দ্বীনের স্বার্থে, দেশ রক্ষার স্বার্থে, সর্বোপরি অপরাধমুক্ত আদর্শ ইসলামী সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা, দেশ গঠন, সমাজ উন্নয়ন, সমাজ সংস্কার ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ওলামায়ে-কেরাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমরা উলামায়ে কেরাম যে মতের যে পথের বা যে দলেরই হই না কেন, আমরা যদি মৌলিক বিষয়ে এক থাকতে পারি তাহলে এ দেশে ইসলামের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ময়দান যেদিকে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষও সেদিকেই ঝুঁকছে। এতে বোঝা যায় দেশের মানুষ নতুন কিছু পেতে চায়, নতুন একটা ধারা চায়। আর সেটি হলো ইসলামী ধারা, সেটি হলো খেলাফতে রাশেদীনের ধারা, ইনশাআল্লাহ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, কেবলমাত্র ওলামায়ে কেরামের ইমামতিতেই এ দেশে শির্ক-বিদয়াতমুক্ত, অপরাধ, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, দল-মত-নির্বিশেষে আমাদের এক হতে হবে। আমাদের অতীতের সব ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। আমাদের আর কোনো রাজনৈতিক দলকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।