ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ আ.লীগ নেতাকর্মী ও সাবেক ওসির বিরুদ্ধে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ আ.লীগ নেতাকর্মী ও সাবেক ওসির বিরুদ্ধে

বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরের সাতলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-ও সাবেক এক ওসির বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবারের ওপর হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে উঠেছে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান।

তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, আমি ১ নং সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছি। সাতলায় আমাদের ২০ একর জমি ও মাছের ঘের রয়েছে। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে লুটপাট করে খেয়েছে। সম্প্রতি এই জমি ও মাছের ঘের দখল করতে এলাকার ভূমিদস্যু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরও মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে দখল করতে না পেরে আমাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি ও হেনস্তা করাও হয়। এমনকি উজিরপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ জাফর আহমেদ, এসআই আশিক ও এএসআই সুমন বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। যে ঘটনায় আমি আদালতে মামলাও দায়ের করি।

লিখিত বক্তব্যে দাবি মিজানুর রহমান আরও বলেন, মাছের ঘের দখল ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনকারী মিজানের ভাই মনিরুজ্জামান মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাদের বোনকে শ্লীলতাহানিও করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ তাদের বিষয়টি আমলে না নিলে গত ১৮ নভেম্বর বরিশাল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মিজানুর রহমানের দাবি তাকে ফাঁসাতে গত ২৪ আগস্ট রাতে সাতলা ব্রিজে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের মামলায় ২২ নং আসামি করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নি আগৈলঝাড়া থানায় অবস্থান করছিলেন, যা থানার সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ হয়েছে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং কসবা আর্মি ক্যাম্পে লিখিতভাবে জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওসি জাফর, এসআই আশিক, এএসআই সুমন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

তবে পুলিশ কর্মকর্তা জাফর আহমেদ তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।