বরিশাল: বরিশালে সাত দিন আগে জন্ম নেওয়া এক নবজাতকের তিন ধরে কোনো হদিস পাচ্ছে না বাবার পরিবার ও পুলিশ।
নবজাতক সম্পর্কে কোনো তথ্যও দিচ্ছে না তার জন্ম দেওয়া স্কুলশিক্ষিকা মা।
নবজাতকের বাবা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ বলেন, পারিবারিকভাবে দেড় বছর আগে ঝালকাঠির মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ঐশি আক্তারের বিয়ে হয়। দূরে চাকরি করা নিয়ে স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। অন্তঃসত্ত্বা হলে তিনি তাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার ও বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দেয়। বেশ কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়।
তিনি বলেন, ৯ জানুয়ারি বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একা এসে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হলে পরে স্বজনরা তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে ১০ জানুয়ারি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। জন্ম দেওয়ার পর নবজাতকের বিষয়ে উদাসীন ছিল। এরপর তাকে বরিশাল নগরের আলেকান্দা এলাকায় বোনের বাসায় নিয়ে যায়। বুধবার সকালে পালিয়ে বাচ্চা নিয়ে বের হয়। পরে বাচ্চা ছাড়া ফিরে আসে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে স্ত্রী জানিয়েছে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীর ওপর নির্মিত সেতু থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে। পরে বলছে খয়রাবাদ সেতু দিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যও এবং কোতোয়ালি মডেল থানার এক এসআই গিয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছে। কিন্তু সঠিক কোনো তথ্য দেয়নি। বাচ্চা কোথায় আছে তিন দিন ধরে তাও বলছে না। বর্তমানে স্ত্রী বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ইব্রাহিম বলেন, শোনা তথ্যে দপদপিয়া সেতুর নিচে থাকা বিভিন্ন নৌযানের কর্মচারীদের সাথে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি। নবজাতকের মায়ের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো কথা বলছে না। তাই নবজাতক কোথায় আছে, সেই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করতে হবে।
নবজাতকের মামা মো. মাসুদ জানান, তার বোন শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্নতায় ভুগছেন। এজন্য তাকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক কোথায় আছে, এ প্রশ্নের জবাবে তার বোন কিছুই বলতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
এমএস/এএটি