ঢাকা, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

রাস্তা থাকলেও নেই ড্রেন, বৃষ্টিতে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৭, মে ৩১, ২০২৫
রাস্তা থাকলেও নেই ড্রেন, বৃষ্টিতে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

নেত্রকোনা পৌর শহরের পশ্চিম নাগড়া সওদাগর পাড়ায় টানা দুদিনের বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতাধিক পরিবার। নতুনভাবে নির্মিত রাস্তাগুলো আগের তুলনায় অনেক উঁচু হওয়ায় রাস্তার এক পাশে থাকা ঘরবাড়িগুলো অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা উঁচু করা হলেও কোনো ধরনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে টানা বৃষ্টিপাতে বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকে পড়ে এবং তা বের হতে না পেরে দীর্ঘক্ষণ জমে থাকে।

পশ্চিম নাগড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানি ঢুকে ঘরের ভেতরে হাঁটুপানি জমেছে। রান্না তো দূরের কথা, ঘরের ভেতরেই দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

একই রকম অভিযোগ করেন আরেক বাসিন্দা মুক্তা আক্তার। তিনি বলেন, প্রতিবার বৃষ্টিতে একই অবস্থা হয়। রাস্তাটা উঁচু করেছে ঠিকই, কিন্তু ড্রেন দেয়নি। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোও যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্পগ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় প্রকৌশলীরা এলাকার ভৌগোলিক অবস্থা এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক প্রবাহ বিবেচনায় নেন না। শুধু রাস্তা বানালেই যেন তাদের দায়িত্ব শেষ। অথচ এ অব্যবস্থার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

পশ্চিম নাগড়া এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এখানে ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি। নির্বাচনের সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভোট চাইতে বারবার এলেও উন্নয়ন কার্যক্রমে এই এলাকা বারবার উপেক্ষিত থাকে। ভাঙা রাস্তা, জলাবদ্ধতা ও কাদামাটি এখানকার নিত্যদিনের সঙ্গী।

পানিবন্দি অবস্থায় থাকা পরিবারগুলো দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন এবং একটি টেকসই সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।  

তারা বলেন, ভোটের সময় আমাদের দরজায় দরজায় এসে প্রতিশ্রুতি দেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বৃষ্টি হলেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবতা চোখে পড়ে—পানি আর কাদার মাঝে ডুবে থাকা আমাদের জীবন।

এলাকাবাসীর একটাই দাবি—ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান করা হোক। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার আগে এলাকার পরিবেশ, জনঘনত্ব এবং প্রাকৃতিক অবস্থা মূল্যায়ন করে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।