মাগুরা: গেল ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আব্দুল আহাদ আলী (১৭)। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে ছেলে। ধরবে সংসারের হাল। বাবাকে আর ভ্যান গাড়ি চালাতে দেবে না। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আহাদ ভর্তি হয় মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজে।
এরই মধ্যে দেশে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর এই আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তাদের আদরের সন্তান আহাদ।
রোববার সরেজমিন আহাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আধা পাকা একটি টিনের ঘর। পাশেই রয়েছে গোয়াল ঘর। বৃষ্টি হলেই বাড়ির উঠানে জমে পানি। ছোট একটি টিনশেডের বাড়িতে থাকেন আহাদের বাবা-মা ও ছোট ভাই।
আহাদের বাবা ইসুফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে আহাদকে বড় করে তুলেছি। আহাদের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। আহাদ নেই। তিন মাস হয়েছে আহাদের মৃত্যু হয়েছে। সরকারিভাবে মাত্র ৫ হাজার টাকা ও একটি সেলাই মেশিন পেয়েছি, এর বেশি কিছু পাইনি।
তবে এ ঘটনায় আহাদের ছোট চাচা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে মা পাখি খাতুন বলেন, যারা আমার আহাদের বুকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
মাগুরা মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আহাদ আলী হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
আরএ