ঢাকা: গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় শোষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভা থেকে এ কথা বলা হয়।
সভার শুরুতে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন সহ সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার। কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটিরসহ সভাপতি পরেশ কর, আশরাফুল আলম, আব্দুল মান্নান, ডা. তপন বসু, মোতালেব হোসেন, হাফিজার রহমান, রেজাউল করিম রাজু, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম পিপুল, খোরশেদ মন্ডল, গোলাম ফারুক, অ্যাড, চিত্তরঞ্জন গোলদার, আবুল হোসেন, আব্দুল মজিদ, মনির হোসেন, আব্দুর রউফ, আব্দুল আউয়াল, অ্যাড. এনামুল হক, মোজাহারুল হক, আবুল কালাম, আব্দুল করিম, এমদাদুল হক মিলন, লোকনাথ বর্মন, মাসম ইবনে শফিক, আবুল কালাম চাষী প্রমুখ।
বর্ধিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুররা যা আয় করে তা দিয়ে সংসারের বাজার খরচও হয় না। ফলে তাদেরকে অতিরিক্ত সময় বিভিন্ন পেশায় জড়িত থাকতে হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সরকারের দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গ্রামের বঞ্চিত মানুষ। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির বরাদ্দ লুটপাট এখনও বন্ধ হয়নি। নেতৃবৃন্দ গ্রাম-শহরের গরিব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি করেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু ধনী-গরিবের বৈষম্য কমেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণ মজুর, কৃষি শ্রমিকদের জন্য কোনো সংস্কার প্রস্তাব করা হয়নি। নেতৃবৃন্দ ষাটোর্ধ্ব গ্রামীণ মজুরদের বিনা জামানতে পেনশনের ব্যবস্থার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, সাম্প্রদায়িক নানা শক্তি হামলা ও আস্ফালন, দখল-পাল্টা দখলদারিত্ব, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষেতমজুর সমিতির সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় শোষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলের প্রতি সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া গত ৫ আগস্ট ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রদীপ ভৌমিককে হত্যার বিচার দাবি করে বিক্ষাভ মিছিল পল্টন, তোপখাান রোড, প্রেসক্লাব হয়ে আবার মুক্তিভবনে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময় : ০৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
আরকেআর/এমএম