ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

ঢাকা: নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং যুবকদের বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না বলে একটি সেমিনারের বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিডি) পক্ষ থেকে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার থেকে এ কথা বলা হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিডির নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম। সেমিনারে কী-নোট স্পিচ প্রদান করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।    

সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব, মেজর অবসরপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবীদ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, জবানের সম্পাদক রেজাউল করিম রনি প্রমুখ।

এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার।

মির্জা গালিব বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের বেশিরভাগ তরুণ। হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনেও অর্থনীতি কোলাপস না করার একটাই কারণ ছিল এদেশে তরুণ জনগোষ্ঠির সংখ্যা বেশি। এই তরুণ এবং যুবকরাই যখন ফ্রাস্টেড হয়ে রাস্তায় নামছে, তখনি হাসিনার পতন হইছে। তাই আগামী দিনের রাজনীতিতে আমাদের তরুণদের আশা আকাঙ্খার বাস্তবায়ন করতে হবে।

তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে বুঝতে হবে, তরুণরা কি চায়। তরুণদের চাওয়ার সাথে রাজনৈতিক এজেন্ডাকে পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের দলের মধ্যে তরুণদের জায়গা করে দেবে। বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় দলের সর্বোচ্চ ফোরামে ৫০ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের নিচে হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারও হাসিনার পতনের রাস্তায় হাটবে। এদেশের বিশাল অংশ তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কানেক্টেড হতে না পারলে আপনি এদেশে রাজনীতি করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি তরুণরাও নতুন নতুন আরও রাজনৈতিক দল তৈরি করবে। আমরা চাই অনেক অনেক রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

ড. ফয়জুল হক বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের ৫ আগস্টের আগের চেয়েও বেশি ঐক্য প্রয়োজন। যুবকদের বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, দলীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যুব সমাজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আভ্যন্তরীন সংস্কারকে প্রায়োরিটি দিতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে সিজিডির নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানে শুধু নতুন একটি দল করা নয়। এর পাশাপাশি  নতুন রাজনৈতিক কালচার ডেভেলপ করতে হবে এবং রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তনের চিন্তা করতে হবে। শুধু দল গঠনকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বললে কয়দিন পর হারিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে আগামী সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ যুবককে মনোনয়ন দিতে সব রাজনৈতিক দলকে বাধ্য করতে হবে। পাশাপাশি সকল দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও যুবকদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

আরকেআর/আরএ  

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।