নীলফামারী: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের তারিখ পরিবর্তনসহ নতুন পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখসহ অন্যান্য বিষয় সংশোধন করার দাবি তোলা হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রহমত আলী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতীক শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) যে কুচক্রীরা ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের আইনের আওতায় না আনলে ছাত্র-জনতা তা মেনে নেবে না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আবু সাঈদকে বিতর্কিত করার জন্য এ কাজ করেছে।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ গত বছরের ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের গুলির বিপরীতে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ান। ভয় না পেয়ে তিনি সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপরেই পুলিশ তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। অথচ এবারের নতুন পাঠ্যপুস্তকে তার শহীদ হওয়ার তারিখ ১৭ জুলাই উল্লেখ করা হয়েছে। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। এ ছাড়াও তার সম্পর্কে বিকৃত তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে সমাবেশে অভিযোগ তোলা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রকাশিত চলতি শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে আবু সাঈদের হত্যার তারিখ ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজি বইয়ের গ্রাফিতি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিরস্ত্র আবু সাঈদ শহীদ হন।
তবে বাংলা সাহিত্য বইয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ শিরোনামে নতুন যুক্ত করা অধ্যায়ে বলা হয়, ‘১৬ই জুলাই আন্দোলন তার সবচেয়ে কার্যকর ও পরিচিত ছবিটি পেয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৫
আরএ