যশোর: যশোরের চৌগাছায় ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ধীরেন্দ্রনাথ দে নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি চৌগাছার উত্তম জুয়েলার্সের মালিক।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কের খাদ্য গুদামের সামনে থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকরাীরা। পরে পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে প্রথমে ১০ লাখ টাকা এবং কিছুক্ষণ পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ব্যবসায়ীর চৌগাছা বাজারের বাড়িতে যান।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং বিশিষ্টজনেরাও ছুটে যান ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তারা পুলিশকে দ্রুত ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথ দেকে নিরাপদে উদ্ধারের আহ্বান জানান।
ভাই রতন কুমার দে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দাদা (ধীরেন্দ্রনাথ দে) হাঁটতে বের হন। যশোর সড়কে খাদ্য গুদামের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মাইক্রো থেকে নেমে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে যশোরের দিকে চলে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা ধীরেন্দ্রনাথের মোবাইল ফোন দিয়ে ছেলে উত্তম কুমার দের কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছে। যদি টাকা ম্যানেজ করতে দেরি হয়, তাহলে স্বর্ণালংকার নিয়ে ছেলে উত্তম কুমারকে একা যশোর যেতে বলা হয়। যশোরে যেয়ে ফোন দিলে বাবার মুক্তির জন্য কোথায় যেতে হবে জানাবে বলে জানায় অপহরণকারীরা। সেখানে টাকা বা স্বর্ণ পৌঁছে দিতে হবে।
এদিকে ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথ দের অপহরণের সংবাদ পেয়ে চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল, জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল আহমেদ, ব্যবসায়ী গোবিন্দ কুমারসহ অনেকে তার বাসায় ছুটে যান। দ্রুত ছুটে যায় পুলিশও।
বিএনপি নেতা এমএ সালাম বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ভুক্তভোগীর বাসায় চলে যাই এবং সব শুনে থানা পুলিশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খবরটি পৌঁছে দিয়েছি। ঘটনা উদঘাটনে আমরা চেষ্টা করছি।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুতই কাজ শুরু করেছে। অপহরণের শিকার ব্যবসায়ীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
এসআই