ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ধানমন্ডির সেই ‘রহস্যজনক’ আন্ডারগ্রাউন্ডের পানি তুলছে ফায়ার সার্ভিস

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
ধানমন্ডির সেই ‘রহস্যজনক’ আন্ডারগ্রাউন্ডের পানি তুলছে ফায়ার সার্ভিস ভবনটিতে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা। ছবি: জিএম মুজিবুর

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি সম্প্রতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ওই ঘটনার পর সেখানকার একটি ভবনের নিচে কয়েক তলা ফ্লোরের সন্ধান মেলে।

অনেকের সন্দেহ, সেই আন্ডারগ্রাউন্ড বা বেজমেন্টে গোপন আটককেন্দ্র বা ‘আয়না ঘর’ থাকতে পারে।

এই রহস্য উদঘাটনে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সেই আন্ডারগ্রাউন্ডের পানি নিষ্কাশন শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে সেখানে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পানি সরানোর কাজ চলছে। এখনো উল্লেখযোগ্য কিছু চোখে পড়েনি। যে পানি জমা হয়েছে সেটা বৃষ্টির পানিও হতে পারে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ষষ্ঠ মাস পূর্ণ হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার)। আন্দোলনকারীদের ভাষ্যে, ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা জুলাইজুড়ে হত্যার জন্য পতনের আগেও কোনো আফসোস করেননি। এমনকি ভারতে আশ্রয়ে থাকাকালে তার যেসব বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার পাচ্ছে, তাতেও কোনো অনুশোচনাবোধ প্রকাশ পাচ্ছে না।

উপরন্তু  তার সরকারের নির্দেশে তৎকালীন পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে মারার শত শত ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ পেলেও হাসিনা বক্তব্য-বিবৃতিতে দম্ভ ও তাচ্ছিল্যভরে আন্দোলনকারীদেরই দুষছেন।

অনুশোচনার বদলে তার এ ধরনের দম্ভ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে ছাত্র-জনতাকে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে আগে থেকে প্রচারণা চালিয়ে তিনি যেন সেই ক্ষোভের আগুন উসকে দেন।

ভাষণের ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ার পর আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। তাদের অভিযোগ, ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে শেখ হাসিনা বিদ্বেষের আগুন ছড়াচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মার্চ করার ঘোষণা দেয়।

সন্ধ্যার পর থেকেই সেখানে সমবেত হতে থাকে ছাত্র-জনতা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রাত ৯টায় শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের সময় নির্ধারিত ছিল। যদিও হাসিনার অডিও ভাষণ প্রচার হয়। তার এ ভাষণকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাড়িটিতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এক্সকেভেটর ও ভেকু মেশিন নিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

তখন শেখ মুজিবের বাড়ির পাশেই একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরের সন্ধান পায় ছাত্র-জনতা। যা নিয়ে তখন থেকেই রহস্যের ডালপালা মেলেছে।

যদিও কেউ কেউ বলছেন, ভবনের গাড়ির গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেজমেন্টগুলো তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।