ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি পাদুকা প্রস্তুতকারকদের, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি পাদুকা প্রস্তুতকারকদের, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম মানববন্ধনে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলালসহ অন্যরা/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন পাদুকা প্রস্তুতকারকরা। দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলাল বলেন, প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অত্যন্ত অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। ভ্যাট অব্যাহতির ফলে সরাসরি পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নিম্ন আয়ের ক্রেতা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় এতো উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ১৫০ টাকার রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন প্রস্তুতকারকরা। এই কম উৎপাদন খরচের সুবিধা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছেছিল, এর মাধ্যমে দেশের নিম্নআয়ের মানুষ সাশ্রয়ী দামে প্রয়োজনীয় হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকা কিনতে পেরেছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এই পণ্যগুলো অত্যাবশ্যকীয়, কারণ এগুলো ছিল তাদের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য পাদুকা।

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোনোভাবেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই পণ্যের দাম বাড়ানো যায় না। অথচ বিগত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। দৈনন্দিন খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনকি ব্যবসা ৩০-৪০ শতাংশ কমে গেছে। এই অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে, যা বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর চাপ সৃষ্টি করবে। অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। যা ব্যাপক বেকারত্ব তৈরি করবে।  

এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।