ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ডেমরায় অটোরিকশা চালক উষান হত্যায় ৫ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
ডেমরায় অটোরিকশা চালক উষান হত্যায় ৫ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার 

ঢাকা: রাজধানীর ডেমরায় ছিনতাইয়ের উদ্দেশে অটোরিকশা চালক উষান মিয়া হত্যার ঘটনায় অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারা হলেন-মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৪), মো. ফালান ভুইয়া ওরফে আকাশ (২৯) মোছা. আঁখি আক্তার (৩২), মো. নাজিম হোসেন (৪২) ও মো. আমান হোসেন (৩৭)।

 

রোববার (৯ ফেরুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডেমরা থানা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার উষান মিয়া (৪২) দীর্ঘদিন ধরে রাজারবাগ কালীবাড়ি এলাকায় অন্যের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরের দিন সকালে ডেমরা ডিএনডি খালে (ঢাকা ওয়াসা খাল) উষান মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম উষান মিয়ার বড় ভাই মো. সুজা মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটা হত্যা মামলা করা হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর থেকে মো. ফালান ভুইয়া ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে মুগদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা যায়, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি বিকেলে হাবিবুর রহমান আরও কয়েকজনসহ ভিকটিম উষান মিয়ার অটোরিকশায় উঠে শাহবাগ থেকে ডেমরা এলাকায় আসে। সেখানে হাবিব কৌশলে উষান মিয়াকে ৪-৫টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার চেষ্টা করে। কিন্তু উষান মিয়া অচেতন না হওয়ায় তাকে মেরে ফেলে মরদেহ ডিএনডি খালে ফেলে দেয় তারা। পরবর্তীতে অটোরিকশাটি ডেমরার পশ্চিম সানারপাড়ের মো. আমান হোসেনের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয় তারা।  

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, এ চক্রের আরও তিন সদস্য মোছা. আঁখি আক্তার, মো. নাজিম হোসেন ও মো. আমান হোসেন গত ৩১ জানুয়ারি অটোরিকশা ছিনতাই ও ক্রয় করার অভিযোগে ডেমরা থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

গ্রেপ্তারা, গরিব অসহায়, সহজ-সরল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের ভাড়ার কথা বলে অটোরিকশায় ওঠে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে তাদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে বা মলম লাগিয়ে বা মারধর করে অথবা  চাপাতির ভয় দেখিয়ে বা ইলেকট্রিক শক দিয়ে এমনকি হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তা স্বল্পমূল্যে আমান হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।