ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নাচোলে ‘ঘুষকাণ্ডে’ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
নাচোলে ‘ঘুষকাণ্ডে’ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: নিজ দফতরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে নাচোলের পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনকে।  

তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।

পরে বিষয়টি নজরে এলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রোববার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে দেলোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়,  দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে লিখিত আবেদন পাঠান এক ভুক্তভোগী। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে MRtv নামক একটি ফেসবুক পেজে দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ নেওয়ার চার মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হলে বিভিন্ন সংবাদ মাধমে সংবাদ পরিবশেন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহারাজপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওঅ্যান্ডএম) শেখর চন্দ্র সাহাকে আহ্বায়ক ও ইনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবিবকে সদস্য করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রির্পোটের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরেকটি তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ভোলাহাট সাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওঅ্যান্ডএম), সদর দপ্তরের অমিত সাহা ও ইনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর সোহাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার অফিস কক্ষে বসে স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি মিজানুর রহমানকে একটি ফাইল দেখিয়ে বলছেন, এ বাণিজ্যিক ফাইলটার কি করলা? উত্তরে মিজানুর রহমান বলছেন, স্যার ১৫০০ টাকা নেন। পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা ঘুষ নিয়ে পকেটে ঢুকান। এসময় মিজানুর রহমান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের উদ্দেশে বলেন, আমরা যা পাই সবাই মিলেমিশে খাই স্যার, তখন উত্তরে পল্লী বিদ্যুতের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, অত কথা বলতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।