ঢাকা: মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের প্রথম অর্থাৎ শূন্যপদ নিয়োগ সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানকল্পে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের মধ্যে ওই মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় উভয়পক্ষ ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’র উত্থাপিত দাবি-দাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে কয়েকটি বিষয়ে একমত হন।
দাবিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যৌক্তিক এবং স্বল্পসময়ে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো চিহ্নিত করে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদকে অবহিত করা হয়।
প্রথম দাবি অর্থাৎ শূন্যপদ পূরণ সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঐক্য পরিষদকে জানানো হয় যে, ইতোমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ সম্পর্কিত দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।
দ্বিতীয় দাবি উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে ঐক্য পরিষদকে জানানো হয় যে, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন আছে।
অন্য দুটো দাবি অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগের মতো বিষয়গুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরেও বিভিন্ন পক্ষ এবং কর্তৃপক্ষ সম্পর্কিত থাকায় সেগুলো পূরণ করা সময়সাপেক্ষ। তবে সেগুলো নিয়েও উভয়পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হয়।
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতকৃত ‘নোটস অব ডিসকাসনের’ উভয়পক্ষ সম্মত হয়ে সই দিয়ে মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে সবপক্ষের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখা, নাগরিক জীবন বিঘ্নহীন রাখা সর্বোপরি অন্তর্বর্তী সরকারের আশু দায়িত্বগুলো পালনে সহায়তা করার জন্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
আরকেআর/এএটি