ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্ব সম্মেলনে সড়ক নিরাপত্তা আইনের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বিশ্ব সম্মেলনে সড়ক নিরাপত্তা আইনের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান   ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন অব বাংলাদেশ।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে '৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রত্যাশা' শীর্ষক সংবাদ সন্মেলনে এ আহবান জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মরক্কোতে মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনে সরকারের শিল্প উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য মরক্কোর মারাকেশে চতুর্থ মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে অঙ্গীকার করার দাবি জানানো হয়। সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়নে সরকার কমিটি গঠন করলেও পৃথক একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন,  একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইনের দীর্ঘদিনের দাবি দেশের তরুণ কিশোরসহ আপামর জনসাধারণের। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি আরো জোরালো হয়। এরপর সরকার 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮' পাস করে। আইন পাস করা হলেও তাতে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ের ঘাটতি ছিল যার সিংহভাগ ছিল পরিবহন বা যানবাহন কেন্দ্রিক। ফলশ্রুতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের এবং প্রাণহানির ঘটনা নৈমত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই, বিশ্ব সম্মেলনে কিছু বিষয়ে সরকারের প্রতিনিধি প্রাধান্য দেক। দেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন বা বিধি নেই তাই সরকারের উচিত একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা; যা হতে হবে প্রমাণ-ভিত্তিক সাফল্য এবং সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে। পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিকল্পনায় সুপারিশকৃত পাঁচটি ক্ষেত্রকেও (বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থা ও যথাযথ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) এর আওতাভুক্ত করতে হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশে রোড ক্রাশ এবং তাতে হতাহতের পরিসংখ্যান জানার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য কোন কাঠামোগত ব্যবস্থা যেমন নেই তেমনি নেই সুনির্দিষ্ট তথ্য। রোড ক্র্যাশের প্রকৃত চিত্র উপস্থাপনের জন্য সরকারকে একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ব্যবস্থা বা একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। যেখানে রোড ক্রাশ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে রোড ক্রাশ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (বর‍্যাক) খালিদ মাহমুদ, সিআইপিআরবি এর এসোসিয়েট ডিরেক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রকল্প কর্মকর্তা মো: শারাফাত-ই-আলম, রোড সেফটি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী রোরহান উদ্দিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এমএমআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।