ঢাকা, শনিবার, ২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের গল্প ট্র্যাজেডিতে শেষ, দুর্ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
প্রেমের গল্প ট্র্যাজেডিতে শেষ, দুর্ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি

ঢাকা: বিয়ের কথা চলছিল মাহমুদ-তনিমার। দুজন যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলে চেপে।

তবে পথ শেষ হওয়ার আগেই তাদের প্রেমের গল্প শেষ হলো ট্র্যাজেডিতে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রেমিক মাহমুদের।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ডেমরায় সুলতানা ব্রিজের ওপর মালবাহী কন্টেইনারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা মাহমুদ বাবু ও তনিমা আহত হন।  পথচারীরা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে মারা যান মাহমুদ।

ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ডেমরা সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর দিয়ে মাহমুদ বাবু তার বান্ধবী তনিমাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় মালবাহী কন্টেইনারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন।

তিনি বলেন, পথচারীরা দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাহমুদ বাবু মারা যান। তনিমাকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই কন্টেইনারটি জব্দ এবং এর চালককে আটক করা হয়েছে।

নিহত মাহমুদ বাবুর ভাই আরাফাত হোসেন শাওনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। থাকতেন মিরপুরে। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আব্দুল্লাহবাদ গ্রামে। বাবার নাম বোরহান উদ্দিন ব্যাপারী।  

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলে মাহমুদ বাবুর সঙ্গে তার প্রেমিকা তনিমা ছিলেন। তনিমার বাসা রামপুরা এলাকায়। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে পড়েন।  

আরফাত শাওন বলেন, তার ভাই মাহমুদের সঙ্গে তনিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের দুজনের বিয়ের কথাও হচ্ছিল। তবে তারা আজ কোথায় যাচ্ছিলেন, তা তার জানা নেই।

এদিকে পৃথক দুর্ঘটনায় ভোর ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে অজ্ঞাত যানবাহনের চাপায় রিংকু নামে এক কাঠমিস্ত্রি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আওলাদ হোসাইন বলেন, রিংকু কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। ডেমরা সানারপাড় এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। মাতুয়াইলে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। বাসায় সেহেরি খেয়ে ভোরে কাজে যাচ্ছিলেন।

মাতুয়াইলে আল ফারুক সিএনজি পাম্পের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির কোনো এক যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহত রিংকুর বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়, বাবার নাম আব্দুল আলিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
এজেডএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।